গাজীপুরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় গাজীপুরে নৌকার টিকিট পান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান। তার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করতে ২৮ সদস্যদের কেন্দ্রীয় একটি সমন্বয়ক টিম গঠন করা হয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল (সোমবার) আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এই টিমে দলনেতা করা হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে। টিমের সমন্বয়ক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
টিমের বাকি ২৫ সদস্য হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
এ ছাড়াও টিমের সদস্য হিসেবে রয়েছেন— আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তারানা হালিম, সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, মোহাম্মদ সাইদ খোকন, রেমন্ড আরেং ও নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে 'বিদ্রোহী' প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি এই সিটির সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। জাহাঙ্গীর তার মায়ের নামেও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন এবার।