কক্সবাজারের মহেশখালীতে মায়মুনা নামে এক গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অপমান ও যন্ত্রণায় নিজের মাথা ন্যাড়া করেছে। স্বামী শ্বাশুড়ির নিয়মিত অত্যাহার অবহেলা ও অযত্নে এক প্রকার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন মায়মুনা।
তার ( মায়মুনা) বাপের বাড়ি থেকে দফায় দফায় টাকা এনে স্বামীকে দেয়ার পরেও তার উপর চলছে অমানবিক নির্যাতন। স্বামী শ্বাশুড়ির কাছে মাথার তেল চেয়ে না পাওয়ায় অভিমানে নিজের চুল কেটে ন্যাড়া করেছে এই নারী। এছাড়াও একটি বদ্ধ রুমে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত দুই সপ্তাহ আগে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয়েছে শনিবার রাতে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী এ অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
গৃহবধূর ভাই আবদু শুক্কুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪ বছর আগে তার বোনের সঙ্গে নয়াপাড়া গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের ছেলে বাহার উদ্দীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য তার বোনের ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালানো হতো। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠক হয়।
তিনি আরও বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার ও অবিচারে তার বোন মাথা ন্যাড়া করেছে বলে তার অভিযোগ । সেখানে তাকে রুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাত থেকে তার বোনকে উদ্ধারের আকুতি জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী বাহার উদ্দীন বলেন, আমার স্ত্রী সুখে আছে। তার কোন সমস্যা হচ্ছে না৷
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হাই বলেন, খবর পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের থানায় আসতে অনুরোধ করেছি। ভিকটিমের পরিবার এলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।