১৯৮৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি । সেদিন ছিল চাঁচকেড়ৈর হাট। গুরুদাসপুর আধুনিক থানা ভবন তখন ছিল না। থানার পুলিশ ছিল অনেকটা ঢিলে ঢালা ভাবে। এ অবস্থায় লুঙ্গিপাড়া কিছু লোক থানায় জিডি করার কথা বলে ঢুকার চেষ্টা করে। কিন্তু দায়িত্বরত পুলিশ কনেষ্টবলের সন্দেহ হলে তিনি তাদের বাধা দেন। এসময় তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্যরা। তারা এক পর্যায়ে ৪০ জনের একদল স্বশস্ত্র ব্যক্তি অস্ত্র উচিয়ে থানায় প্রবেশ করে উপস্থিত সকলকে জিম্মি করে ফেরেন। এ সময় অস্ত্রাগার বেঙ্গে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় । এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে সাইফুল ইসলামকে প্রায় ৩৪ বছর পর শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ১৯৮৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চরমপন্থীদের আক্রমণের শিকার হয় গুরুদাসপুর থানা। ওই সময় লুটপাট চালানো হয় থানায়। লুটপাট চালিয়ে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ৪৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। থানায় মজুত থাকা অস্ত্র লুট ও হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত ৩৪ বছর যাবত সাজাপ্রাপ্ত ওই চরমপন্থী সদস্য সাইফুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনার চাটমোহর এলাকায়।
ওসি বলেন, গুরুদাসপুর থানায় ওই ঘটনায় ৪৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার পর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর ১৯৯০ সালে চার্জশিট দেওয়া হয়। মামলাটির রায় ঘোষণা করা হলে আদালত সাইফুলকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। এরপর জামিন নিয়ে ৩৪ বছর যাবত পলাতক ছিলেন তিনি।এ বিষয়ে র্যাব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেন।