ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চুনারুঘাটে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও ৫০% ভর্তূকি মূল্যে কৃষি যন্ত্র বিতরণ

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১০:২৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
 হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ২০২২-২৩ অর্থবছরের রবি মৌসুমে অনাবাদি পতিত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে সরিষা ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে  কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
 
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজলো প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাহিদুল ইসলাম।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কাদির লস্কর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কৃষকদের মাঝে এ বছর "সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ" প্রকল্পের ৫০% উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) কার্যক্রমের আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তূকি মূল্যে ৩টি রিপার ও ১টি পাওয়ার থ্রেসার কৃষি যন্ত্র বিতরণ উদ্বোধন করা হয়।
 
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ লুৎফুর রহমান মহালদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন সহ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপকারভোগী কৃষকগণ।
 
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬শত ৩০ জন উপকারভোগী কৃষকের মাঝে রবি মৌসুমে অনাবাদি পতিত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে সরিষা আবাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা বিনামূল্যে সরিষা বীজ বিতরণ করেছি। প্রত্যেক কৃষক তার ৩৩ শতাংশ জমির জন্য ১ কেজি করে বারি সরিষা-১৪ জাতের বীজ পেয়েছেন। বিশেষ করে আমাদের সিলেট অঞ্চলে রবি মৌসুমে সেচের অভাবের কারণে আমন ধান কর্তনের পর অনেক জমিই পতিত থাকে। আমাদের চুনারুঘাট উপজেলায় রবি মৌসুমে সেচের অভাবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমি সাময়িক পতিত থাকে। যে ফসলগুলোতে সেচ কম লাগে এরকম ফসল আবাদ সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে সরিষা, সূর্যমূখী ও ভূট্টা। গত অর্থবছরে সরিষা আবাদ হয়েছিল ৫০ হোক্টর। চলতি অর্থবছরের লক্ষমাত্রা আছে ৮০ হেক্টর, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে প্রায় ২শত ৫০ হেক্টর জমি সরিষা আবাদের অওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এবং উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৮৫ হেক্টর জমি সরিষার আওতায় নিয়ে আসতে পারছি। পাশাপাশি আমাদের রবি মৌসুমে প্রণোদনার কার্যক্রমের আওতায় ৮০০ জন কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। এবং আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উঠান-বৈঠক করেছি এবং অনেক কৃষক সরিষার আবাদ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।  আবহাওয়াসহ সবকিছু ঠিক থাকলে আমাদের এই অর্থবছরে ২শত ৫০ হেক্টর জমি সরিষা আবাদের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। যা আমাদের দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে
 
তিনি আরও জানান, এ বছর সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ৬ টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, ১৪ টি রিপার ও ২টি পাওয়ার থ্রেসার যন্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কৃষকদের মাঝে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে যন্ত্র বিতরণ করছে।