রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পরিচালনার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৬৫ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীকে নিয়োজিত করা হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর থেকে সকাল ও বিকেল-দুই শিফটে কাজ করছেন তারা। মূলত শহরের যানজট কমাতে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতেই তারা কাজ করছেন।
পুলিশ জানায়, এর মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকালের শিফটে এবং ৩৫ জন শিক্ষার্থী বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ৩০ অক্টোবর শ্রম, কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত ঘোষিত বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা সকাল ও বিকেলে যানজটের সময় এই দায়িত্ব পালন করবেন এবং খণ্ডকালীন চাকরি হিসেবে এই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকবেন।
ঢাকা শহরের কঠিন ট্রাফিক পরিস্থিতির প্রতি গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ৭০০ প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থী সহায়ক ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০০-৪০০ জনকে মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান বলেন, ট্রাফিক আইন বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীকে পদায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ডিএমপি।
শিক্ষার্থীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেযানজট নিরসনের প্রচেষ্টায় ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি পেশাদারভাবে কাজ করবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ডিসি (মিডিয়া) রহমান বলেন, প্রতিদিন কাজ করা প্রতি শিফটে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা করে পাবেন।
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশজুড়ে বিভিন্ন থানায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার কারণে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকে।
সড়কে ট্রাফিক কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে সড়কে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এগিয়ে আসেন। ১২ আগস্ট থেকে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পুনরায় শুরু করে। তবে গণপরিবহনের অভাব এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির কারণে ট্র্যাফিকের সঙ্গে রাজধানীর সমস্যাগুলো আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তাৎক্ষণিক সমাধান হিসেবে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানো হয়েছে।