ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দিরাইয়ে শিক্ষক সংকট

দিরাই প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ ০৮:১৬:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের আলীপুর, পুরন্দরপুর, বলনপুর, কুড়ি জগন্নাথপুর ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। বিদ্যালয় গুলোতে  প্রায় ১০০-১৫০ জনের মত শিক্ষার্থী রয়েছে।

 

অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয় গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট থাকলেও শিক্ষা অফিসার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। শিক্ষক সংকটের কারণে ঐ শিক্ষককেই পালন করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ। মাসিক সমন্বয়সভাসহ অফিসিয়ালি অন্যান্য কাজে শিক্ষককে অনেক সময় উপজেলা সদরে আসতে হয়। ঐ সময় বাধ্য হয়েই বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হয়।যার কারণে বিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বেঘাত ও বিঘ্নিত হচ্ছে।

 

জানা যায়, ২০২১ সালে আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে দুইজন সহকারি শিক্ষক অবসরে যান। এরপর থেকেই বিদ্যালয়টিতে একমাত্র শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনি চক্রবর্তী। আলীপুরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম পুরন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকসহ দুইজন শিক্ষক কর্তরত থাকলেও এক শিক্ষক ডিপিএড প্রশিক্ষণে থাকায় একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়টি। এছাড়াও কর্মরত দুইজন শিক্ষকের মধ্যে একজন করে শিক্ষক ডিপিএড প্রশিক্ষণে রয়েছে কুড়ি জগন্নাথপুর, বলনপুর ও কুলঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

 

পুরন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত সহকারি শিক্ষক মিহির দাস বলেন, ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি খুব ভাল। শিক্ষক সংকট থাকায় স্কুলের দপ্তরী মাঝে মাঝে ক্লাস নেয়, উপবৃত্তিসহ নানান ধরনের কাজে সহায়তা করে।

 

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরে এসব বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক দেওয়া হবে। বর্তমানে ডেপুটেশনে নিয়োগের জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংখ্যা কম থাকায় তাও সম্ভব হচ্ছে না।

 

উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সংকটের কথা আমরা অবগত আছি। এটি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা হাওর অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, শিক্ষা কমিটির সভায় আমি এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা অফিসারকে বলেছি, উনারা বলেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন। কিন্তু এর কোন অগ্রগতি হয় না।