ঢাকা, শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫শে মাঘ ১৪৩১

নবীনগরে ধনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১:৩০:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি হলো পিঠা উৎসব। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও নগরায়নের ফলে এই পিঠা উৎসব বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শিবপুর ইউনিয়নের ধনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন স্টল সাজিয়েছে নানান রকমের পিঠা-পুলি দিয়ে। এরমধ্যে রয়েছে- নকশী পিঠা, দুধ চিতই, দুধ পুলি, সেওয়াই, ঝিনুক পিঠা, গোলাপ ও ঝিললিম, ফুলঝুরি, পুডিং, চিকেন মেমো ও রসালো পিঠা, চিকন পিঠা, পায়েস, মেরাপিঠা, পাকন পিঠা, নুনগড়া, ডিমের পিঠা, নারিকেল পুলি, তিলের পুলি, শিমফুল পিঠা, প্যাচালো পিঠা, দুধপাকন, চিতই পিঠা, নিমপাতা পিঠা, সবজি পিঠা, মাসের জিলাপি, বিস্কুট পিঠা, হৃদয়হরণ পিঠা, ডিম পানতোয়া,  পাঠিসাপটাসহ ভিন্ন স্বাদের বৈচিত্রময় পিঠা। উৎসবে প্রায় শতাধিক পদের পিঠার সমাহার দেখা যায়।

সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী আমজাদ হোসেন বলেন, পিঠা উৎসব হল বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেটা আমরা প্রতিবছর বাংলা উৎসবে রাখি।প্রতিবছর এ উৎসব চলমান থাকবে।

প্রধান শিক্ষক গোলাম আকবর বলেন, পিঠা খাওয়ার দাওয়াতের প্রচলন এদেশের গ্রাম্য সংস্কৃতির অংশ। শীতের সকালে এক বাড়িতে পিঠা বানিয়ে পাড়ার মানুষকে খাওয়ানো এখনো গ্রামের রীতি। আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা জামাই আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে বাংলাদেশে। মা, ভাবী কিংবা বোনদের হাতে বানানো পিঠার স্বাদ যেমনটা মধুর তেমনি মধু মাখা তাদের হাসি মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। আনন্দে উদ্ভাসিত হয় মন।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ