পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়। এদিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে পদ্মা উত্তর থানা থেকে মাওয়া টোল প্লাজা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালকদের ভিড় দেখা যায়। অন্যদিকে শিমুলিয়া ঘাটে অলস পড়ে আছে ফেরি কুঞ্জলতা।
সকালে পদ্মা বহুমুখী সেতুর কর্মীরা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে ছয়টি শর্ত সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছেন বাইকারদের কাছে।
মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে টঙ্গী থেকে এসেছেন আসাদুজ্জামান। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় দীর্ঘ ভিড় দেখে তিনি এসেছেন ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পারিবারিক কাজে আমার বরিশাল যেতে হবে। সেতুর টোল প্লাজায় বাইকের অনেক ভিড় দেখে ভেবেছিলাম ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দেব কিন্তু এখন ফেরি চলাচল করছে না। নৌ কর্তৃপক্ষের উচিত ফেরির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ৬টি শর্ত মাইকিং করছে ও টোলের ১০০ টাকা ভাঙতি রাখতে বলছে। এছাড়াও বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে। এদিকে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে দেখা গেছে ফেরির কর্মকর্তারা এখনো ঘুম থেকে উঠেননি। দুই একজন যারা উঠেছেন তারাও অলস সময় পার করছেন।
কুঞ্জলতা ফেরির ইঞ্জিন ইঞ্জিনিয়ার গোলাম দস্তগীর বলেন, সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করতেছে। যার জন্য আপাতত বন্ধ রয়েছে ফেরি। নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। যদি আমাদেরকে থাকতে বলে তাহলে থাকব অন্যথায় চলে যাব।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, ঈদ যাত্রীদের সুবিধার জন্য গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) বরিশালের ভোলা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছায় ফেরি কলমিলতা ও কুঞ্জলতা। ফেরি দুইটি পরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল ও যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ও সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাটে চলাচল করে। আজ থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে কোনো মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রী হিসেবে পদ্মা পার হচ্ছেন না।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ও সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে কোনো গাড়ি বা যাত্রী নেই বলে ফেরি ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত কলমিলতা ও কুঞ্জলতা ঘাটেই থাকবে।