ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাঁচ বিভাগীয় শহরে আওয়ামী লীগে কোন্দল বাড়ছে

বায়ান্ন ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩ জুলাই ২০২৩ ০৭:১৮:০০ পূর্বাহ্ন | রাজনীতি

 

দেশের পাঁচ বিভাগীয় শহরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছে। এসব মহানগরে কোথাও শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, কোথাও থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের বিবাদে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

 

এই পাঁচ মহানগর হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর। এসব জায়গায় বিবাদের কারণে সংঘর্ষ, রক্তপাতের ঘটনাও ঘটছে।

 

 

কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও কোন্দল নিরসন হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা কোন্দল নিরসনে বারবার তাগিদ দিলেও বিভাগীয় শহরগুলোর আওয়ামী লীগনেতারা কার্যকর উদ্যোগ নেননি। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

 

দলের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কোন্দলের কথা স্বীকার করে  বলেন, ‘আমরা এত দিন যে কৌশল নিয়ে চলছিলাম, তার সঙ্গে আরো কিছু নতুন কৌশল ও ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

 

 

বেশির ভাগ নেতাকর্মীর মাধ্যে ঐক্যের মানসিকতা আছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন নিজেদের স্বার্থে বিরোধ বাড়াচ্ছেন। এঁদের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সতর্ক ও সজাগ রাখার বোধ বাড়াতে হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, আস্থা, ভালোবাসার জায়গাটা আরো পোক্ত করতে আমরা কাজ করছি।

 

 

ঢাকায় ওয়ার্ড পর্যন্ত বিস্তৃত

 

কোন্দল : রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ ওয়ার্ড ও থানায় বিবাদ বড় আকার ধারণ করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যেও বিরোধ আছে। নির্বাচনে মনোনয়ন এবং থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এ বিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা  জানান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দক্ষিণের ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মূলত এ দুই নেতার পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

 

 

ফলে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে বিলম্ব হচ্ছে। আবার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নিজের দল ভারী করতে গিয়ে বিতর্কিত অনেককেই কমিটিতে রাখতে চাইছেন। এ নিয়েও বিরোধ বেড়েছে।

শাহবাগ থানা ও অধীন ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দিয়েছে। শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদকে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগেরও কার্যনির্বাহী সদস্য। একই ব্যক্তিকে একাধিক পদে মূল্যায়ন করায় ক্ষুব্ধ শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন সাবেক যুবদল নেতা হাসান মাহমুদ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের পুরনো নেতাদের সঙ্গে বিরোধ চলছে।

 

জানতে চাইলে শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন  বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে অনুপ্রবেশকারী ও অপকর্মে সম্পৃক্তদের কমিটিতে রাখা হলে আগামী দিনে তা বিপদ ডেকে আনবে। দলের দুর্দিনে এসব লোককে মাঠে পাওয়া যাবে না।

 

গত বছরের শেষের দিকে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি ছিলেন। সেখানে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের সমর্থকদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পরে হাজি সেলিমের এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর কিছু সময় পর নেতাকর্মীরা ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়ান। তখন হাজি সেলিম, হুমায়ূন কবির এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

 

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের অধীন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক দুজন কাউন্সিলর দলের একজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ তুলেছেন।

 

উত্তরের দক্ষিণখান থানা কমিটি নিয়েও বিভাজন দেখা দিয়েছে। দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মিঠু এবারে সভাপতি পদপ্রত্যাশী। তাঁকে কমিটিতে না রাখতে বিগত ৭১ সদস্যের কমিটির ৪৯ জন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এ নিয়ে দক্ষিণখানের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলছে।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান  বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দল ক্ষমতায় আছে। সে জন্য নেতাকর্মীদের মাঝে প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে। যাঁরা পেয়েছেন তাঁরাও প্রত্যাশা করছেন, যাঁরা পাননি তাঁরাও প্রত্যাশায় আছেন। ফলে দলীয় কোন্দল বাড়ছে।

 

এক দশকেও বিরোধ মেটেনি চট্টগ্রামে : একাধিকবার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের পরও মিটছে না চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব। ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হন আ জ ম নাছির উদ্দীন। সেই মেরুকরণ এখনো চলছে। ২০১৭ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান। মহিউদ্দিন অনুসারীরা বর্তমানে তাঁর পুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।

 

আ জ ম নাছির ও নওফেলের দ্বন্দ্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল গোছানো সম্ভব হচ্ছে না। গত এক বছরের বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরের ৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টির সম্মেলন হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডগুলোর সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে। যে ৯টির সম্মেলন হয়েছে সেগুলোর কমিটি নিয়েও নওফেল ও নাছির অনুসারীদের মাঝে বিরোধ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আ জ ম নাছির কমিটি গঠনে সমস্যার কথা জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বসে এ সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দুই পক্ষের বিরোধে তিন বছর মেয়াদি মহানগর কমিটি ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সম্মেলন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের শেষের দিকে তিনবার মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়।

 

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে নওফেল ও নাছির গ্রুপের দ্বন্দ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাত্রলীগ। মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই দুই নেতার অনুসারী ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ থেকে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন।

 

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের বিরোধ নিষ্পত্তিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। কিন্তু বিরোধ যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে।

 

দুই ভাগে বিভক্ত বরিশাল আ. লীগ : বরিশাল মহানগরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ আছেন একদিকে, আর অন্যদিকে আছেন তাঁর বিরোধিরা। হাসনাতবিরোধীরা এখন নবনির্বাচিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। খোকন সেরনিয়াবাত আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছোট ভাই।

 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই বরিশাল আওয়ামী লীগে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবে তৈরি করছিলেন বড় ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহকে। সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

 

সাদিক আব্দুল্লাহর নানা কর্মকাণ্ডে বরিশাল আওয়ামী লীগের একটি অংশ ক্ষুব্ধ। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার পরই দীর্ঘদিন ধরে বরিশালে কোণঠাসা থাকা নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। গত ১২ জুন সোমবার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে খোকন সেরনিয়াবাত জয়ী হওয়ায় সাদিকবিরোধীরা নগরে আধিপত্যের চেষ্টায় আছেন। এরই মধ্যে সাদিকপন্থীদের হটিয়ে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল ও বাস টার্মিনালের দখল নিয়েছেন সাদিকবিরোধীরা।

 

রাজশাহীতে লিটন ও ডাবলু দ্বন্দ্ব : রাজশাহী মহানগরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধও প্রকাশ্য হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বিরোধ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জানিয়েছেন ডাবলু সরকার।

 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি ডাবলু সরকারের ব্যক্তিগত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এর পেছনে খায়রুজ্জামান লিটন গ্রুপের লোকেরা রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন ডাবলু সরকার।

 

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, রাজশাহীর একাধিক সংসদ সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে লিটনবিরোধী সংসদ সদস্যদের এলাকায় একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন। আবার লিটনের অনুসারী সংসদ সদস্য এনামুল হকের নির্বাচনী এলাকায় একাধিক প্রার্থীকে ইন্ধন দিচ্ছেন লিটনবিরোধীরা।

 

গত শনিবার এনামুল হকের নির্বাচনী এলাকা বাগমারায় সমাবেশ করেছে তাঁর বিরোধী পক্ষ। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন টিপু। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

 

কমিটি ভেঙে দিলেও বিরোধ মেটেনি রংপুরে : গত বছরের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এর পেছনে দলীয় কোন্দলই বড় কারণ ছিল বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ কারণে গত জানুয়ারিতে রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

 

কেন্দ্রের কঠোর অবস্থানের পরও রংপুরে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটেনি। এখনো দলীয় কর্মসূচিতে সব পক্ষের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন না। জেলা ও মহানগরের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বিগত কমিটির নেতাদের বিরোধ চলছে। বিগত কমিটির অনেক নেতাই আবার নতুন কমিটিতে স্থান পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে ক্ষুব্ধ বর্তমান কমিটির নেতাদের অনুসারীরা।

 

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুর অনুসারী অনেক নেতাকর্মীই আবার কমিটিতে স্থান পেতে চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে দলের মধ্যে একাধিক গ্রুপ, উপ গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে।

 

যা বললেন কেন্দ্রীয় নেতারা : দলীয় কোন্দলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তাঁরা কোন্দল সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।

 

চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন  বলেন, ‘বড় দলের বড় শহরে বড় বড় গ্রুপিং থাকবে, এটি মেনেই আমরা কাজ করছি। আমরা নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করি এই গ্রুপিং যেন অস্বস্তিকর প্রতিযোগিতায় পর্যবসিত না হয়। গ্রুপিংয়ের বহিঃপ্রকাশ যেন আওয়ামী লীগের ইমেজ ধ্বংস না করে।’

 

রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন  বলেন, ‘হয়তো আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের কোন্দল কিছুটা বেড়েছে। তবে এগুলো নিরসনের চেষ্টা চলছে। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন ঘোষণার পর এ কোন্দল থাকবে না। তখন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।’