ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার চতুর্থ দফা সংলাপ আজ, এবারও জাতীয় পার্টি বাদ

সালেহ্ বিপ্লব, ঢাকা | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ চতুর্থ দফায় সংলাপে বসছেন। আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ৩টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংলাপ শুরু হবে । 

আজকের আলোচনায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল এবং লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল ও জোটের নেতারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে তারা সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব দেবেন।

এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।

গত ৫ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দলের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাকি দলগুলোর সাথে সংলাপ করবেন তিনি। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ডাকা হয়নি জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে। আদৌ ডাকা হবে কি না, এ নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও দলটির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। 

জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার হয়তো জাতীয় পার্টির মতামত নেওয়া প্রয়োজন মনে করছে না, সে কারণে আমাদের সংলাপে ডাকেনি। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। সেই সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি।

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী বা দোসর ছিল জাপা। সে কারণে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তি আসে। সেটি বিবেচনায় নিয়েছে সরকার।

গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতনের পর জাতীয় পার্টির অতীত নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সেই অতীত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগের শাসনে সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করে বক্তব্য দিচ্ছেন জাপা নেতারা। দলটির নেতারা বলছেন, তারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন না। তাদের দলের একটি অংশকে আওয়ামী লীগের পুরো শাসন আমলেই সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হাতে রাখা হয়েছিল। যখনই জাপা সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করত, তখনই ওই অংশকে ব্যবহার করে দল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হতো।

জাপার মহাসচিব চুন্নু বলেন, দলকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তাদের যে ভূমিকা নিতে হয়েছিল, সে ব্যাপারে তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।