চট্টগ্রামের বাঁশখালীর যুবক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মায়মুন (২২) কে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে কৌশলে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মাইমুন বাঁশখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড উত্তর জলদী রুহুল্লাহপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের পুত্র। ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহত মায়মুন পৌরসভা বিএনপি নেতা কামাল উদ্দীনের চাচাত ভাই বলে জানা গেছে।
বাঁশখালী থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্র জানায়, বোরহান উদ্দিন মায়মুন এক সময় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে ঢাকার এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে ঢাকার সেই বন্ধু জেল থেকে বের হয়ে বাঁশখালীর মায়মুনকে ভাল বেতনে চাকরি আছে বলে খবর দিয়ে ঢাকায় যেতে বলেন। গত সোমবার বোরহান উদ্দিন মায়মুন ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ ছিল। পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ বাঁশখালী থানায় বোরহান উদ্দিন মায়মুনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানালে পুলিশের সহযোগীতায় মায়মুনের পরিবার ঢাকায় গিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় যাত্রবাড়ি থানা থেকে লাশ বুঝে নেন।
নিহতের আত্মীয় শাহেদ আকবর চৌধুরী জানান, যার আহবানে সাড়া দিয়ে মায়মুন ঢাকায় গেছেন তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ কিংবা আত্মীয় স্বজন কেউ সেই বন্ধুর সন্ধান দিতে পারেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে লাশ গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যরা বাঁশখালীর পথে রওনা দিয়েছেন। মায়মুন একজন ভদ্র নম্র স্বভাবের ছেলে ছিলেন। তাকে কেন হত্যা করা হল বুঝতে পারছিনা।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, যাত্রাবাড়ি থানা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি বাঁশখালী থানাকে অবহিত করার পর আমরা মায়মুনের পরিবারকে খুঁজে বের করি। সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখার সময় লাশ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা বাঁশখালীর উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন বলে জানান ওসি সুধাংশু শেখর হালদার।