ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বান্দরবানে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা, নিশ্চুুপ প্রশাসন

আবুবকর ছিদ্দীক বান্দরবান প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৬:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে হোটেল সরোয়ারে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা চলছে ।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে তাৎক্ষণিক একটি পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় এবং তারা হোটেল সরোয়ারে অভিযান চালায়। স্থানীয় এলাকাবাসীরা যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জিনিসটি অবগত করলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করে যার প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান চলাকালীন সময়ে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশ প্রশাসন হোটেলে কয়টি রুম আছে জিজ্ঞেস করলে হোটেলের ম্যানেজার আশরাফুল হাসান সজল ১২ টি রুম আছে বলে জানান।

এ সময় অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বুকিংকৃত ৩ টি রুম চেকিং করলেও বুকিং বিহীন ছাড়া অন্য ৯ টি রুম চেক করা হয়নি। যার কারণে শস্যের ভিতর ভূত লুকিয়ে আছে বলে গণমাধ্যম কর্মী ও উপস্থিত সকল জনসাধারণের মনে সন্দেহ জাগে। এই কাজে প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতি সন্দেহ জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপস্থিত কয়েকজন জানান , তারা সকাল সন্ধ্যা দেখে এই হোটেলে অবৈধভাবে নারী উঠানামা করে এবং যুবসমাজ যার কারণে ধ্বংস হচ্ছে। কি কারনে বাকি ৯ টি রুম চেকিং করা হয়নি সে প্রশ্ন উপস্থিত সকল জনসাধারণের। যার কারণে সকলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ।

এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ এস আই শাহীনকে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার পরও বাকি ৯ টা রুম কেন চেক করা হয়নি সে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সবগুলো রুম চেক দেওয়া উনার পক্ষে ইখতেয়ার নেই।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন স্যারের সাথে কথা বলবেন । পরবর্তীতে ঊদ্ধাতন কর্মকর্তাকে দুইবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি ।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন সাঙ্গু ব্রীজের পাশে হোটেল সরোয়ারে মো. শাকিল হাসান নামে এই ব্যক্তি অবৈধ দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। যার কারণে নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ ও পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনে । অবৈধ কার্যকলাপের নিরাপদ স্থান হওয়ায় আশেপাশে এই হোটেল গুলোতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুর সমস্যা ভুক্ত হয়ে অনেকজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগায় উপেক্ষা করে এই দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র তার মধ্যে অন্যতম হলো হোটেল সরোয়ার ।