‘বিপ্লবের সময় তরুণরা জীবন দেয়, আর সেই বিপ্লবের সুফল ভোগ করতে মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগিতে মেতে ওঠেন’- এভাবেই মন্তব্য করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে গতকাল শনিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘তরুণরা শুধু ইতিহাসের পর্যবেক্ষক নয়, তারা এবার ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। কিন্তু বারবার দেখা যায়, বিপ্লব শেষে অভিজ্ঞ মুরব্বিরা বিভিন্ন পদ দখল ও ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, যা তরুণদের আত্মত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
তিনি আরও বলেন, তরুণদের এই অমূল্য অবদান পাঠ্যপুস্তক এবং জাতীয় নীতিতে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। যারা গুলির সামনে বুক পেতে দেয়, তারা যেন শুধু স্মৃতির পাতায় সীমাবদ্ধ না থাকে; তাদের আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে, বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় অর্জনগুলোকে একজন ব্যক্তির একক অবদান হিসেবে তুলে ধরার প্রচেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন,
‘শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অতিরঞ্জিত প্রশংসা তরুণ প্রজন্মের মনে বিরক্তি তৈরি করছে। পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসের প্রতিটি অবদান সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম প্রকৃত সত্য জানতে পারে।’
শিক্ষা অধিকার সংসদের আয়োজিত এই সভায় বক্তারা তরুণদের আত্মত্যাগ এবং নেতৃত্বের ভূমিকাকে তুলে ধরেন। তারা বলেন, তরুণ সমাজের আত্মবিশ্বাস এবং ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনার ক্ষমতা আমাদের জন্য গর্বের। তবে তাদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি না পেলে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
বায়ান্ন/এএস/একে