বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য (অব:) মেজর হাফিজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বলেছে-ভোটের জন্য ২ হাজার মানুষ প্রাণ দেয় নাই। তাহলে কীসের জন্য প্রাণ দিয়েছে? ভোটের জন্যই তো আমরা ৭১ সালে লড়াই করেছি। এই লড়াইও হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আর এর প্রথম পদক্ষেপ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। যারা এ কথা বলছে-তারা আসলে গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ সংস্কার করবে।
অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, ইউনূস সরকারকে সমর্থন করি, ভবিষ্যতেও করব। কিন্তু আপনারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না।
তিনি আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগের কুশীলব ছিল, ১৬ বছর ধরে হালুয়া রুটি খেয়েছে, সুবিধা নিয়েছে, এরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, এদের সরাতে হবে। এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দল গুলোর দায়িত্ব বটে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আপনারা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচন দেন। কোথাও তো কোনো সংস্কার দেখছি না। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। ইতোমধ্যে আওয়ামী ঘরানার অনেকে উপদেষ্টা পরিষদে ঢুকে গেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আপনারা কার পরামর্শে এই তিনজনকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন? আওয়ামী লীগের লালিত পালিতদেরকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ দিয়ে আপনারা স্বাধীনতার মূল চেতনায় আঘাত করছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী এবং বশির আহম্মেদকে আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী বলেও উল্লেখ করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে