কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। পেনি মর্ডান্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ রাজনীতিক।
পেনি মর্ডান্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বলেছেন, তিনি ভালো আছেন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থেকে মর্ডান্ট নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ব্রিটেনের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাককে নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার ব্রিটেনের স্থানীয় সময় ২টার ঠিক আগ মুহূর্তে পেনি মর্ডান্ট নাম প্রত্যাহার করার পরে সুনাকই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টারের অন্যতম ধনী রাজনীতিবিদ এবং দেশটির প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত এই নেতাকে এখন নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
আর এর মধ্য দিয়ে পদত্যাগের আগে মাত্র ৪৪ দিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা লিজ ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। টোরি এমপিদের সমর্থন জোগাড়ে মধ্যপন্থী রাজনীতিক পেনি মর্ডান্টকে হারিয়েছেন ঋষি সুনাক। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোনো প্রার্থীকে সহকর্মী টোরি এমপিদের অন্তত ১০০ জনের মনোনয়ন বা সমর্থনের প্রয়োজন হয়। মর্ডান্ট সেই সংখ্যা পূরণে ব্যর্থ হয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নেতার প্রতিযোগিতা থেকে শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন এই দলের নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে ঋষি সুনাক অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে ছিলেন। সোমবার সকালের দিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরে দাঁড়ানোর পর সুনাকের প্রতিপক্ষ ছিলেন কেবল পেনি মর্ডান্ট। সময় গড়ানোর সাথে সাথে প্রয়োজনীয় আইনপ্রণেতাদের সমর্থন না পাওয়ায় মর্ডান্টও নাম প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে একেবারে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।