বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এক্ষেত্রে উদাহারণ হিসেবে ভারতকে টেনেছেন তিনি।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বৈশ্বিক পরিস্থিতি’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি সম্পাদনা করেছেন বাইডেন প্রশাসনের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত রাশেদ হুসেইন।
এটির প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ব্লিনকেন নিজ বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার আজ হুমকির মুখে। ভারতের কথাই ধরুন; ভারত একদিকে যেমন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, তেমনি বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদেরও দেখা মেলে দেশটিতে। ভারত একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও ধর্মবিশ্বাসের বৈচিত্র সমৃদ্ধ একটি দেশ।’
‘কিন্তু তারপরও আমর দেখছি, সম্প্রতি সেখানে মানুষ ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হচ্ছে; এবং এসব হামলার প্রধান কারণ দেশটির ক্ষমতায় থাকা কিছু ব্যক্তির অবহেলা ও পরোক্ষ সমর্থন।’
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ মন্তব্যে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি, ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক কৌশল ‘ভোটব্যাংক পলিসি’ যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
ব্লিনকেন বক্তব্য প্রদানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারত সবসময়েই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কোথাও কোনো সাম্প্রদায়িক বা জাতিসত্ত্বার ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে আমাদের প্রশাসন তাৎক্ষনিকভাবে তার ব্যবস্থা নেয়। আমরা ধারণা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়েছে।’
‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এখন ভোটব্যাংক পলিসি অনুসরণ করা হচ্ছে।’