ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

ভিসি মোর্শেদ ইজ সো পাওয়ারফুল?

মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৮ এপ্রিল ২০২২ ০২:২৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় তথ্য জানতে তথ্য অধিকার আইনের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। ভিসি মোর্শেদ চৌধুরী বরাবরে ইমেইল ও ডাকযোগে পত্র পাঠানো হয়েছিল। ১১ মাস কেটে গেছে। একটি প্রশ্নেরও উত্তরও পাওয়া যায়নি। এই সময়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক দুর্নীতির খবর প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু ভিসি মোর্শেদের কাছ থেকে কোনো উত্তর আসেনি। 

 

ভিসি বরাবরে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল সেগুলো হচ্ছে ক) সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের জীবন বৃত্তান্ত সংক্ষেপে প্রদান করুন। খ) আপনার নেতৃত্বে এই বিশ^বিদ্যালয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে? গ) বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কোনো বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কি? বাজেটের পরিমাণ কত? কাজের বাস্তবায়ন কোন্ পর্যায়ে আছে ? ঘ) এ পর্যন্ত কতজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ পেয়েছেন? তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি? রাজনৈতিক ও অন্য প্রভাবে কতজন নিয়োগ পেয়েছেন? ঙ) আপনি রাজনৈতিক পরিবারে বিয়ে করেছেন। আপনার শশুড় দেওয়ান ফরিদ গাজী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন এবং মন্ত্রী ছিলেন দুইবার। তিনি কোন্ সরকারের আমলে মন্ত্রী ছিলেন ?

 

ভিসি বরাবরে ২০২১ সালের ২২ মে ওইসব প্রশ্ন করে ইমেইল করা হয়। উত্তর না পাওয়ায় একই বছরের ৮ জুন আবার ইমেইল করা হয়। এরপরও উত্তর না পাওয়ায় রাষ্ট্রীয় ডাকে দুইবার পত্র প্রেরণ করা হয়। আজো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ব্যস্ততার কারণে না অতিরিক্ত পাওয়ারফুল হওয়ার কারণে ভিসি মোর্শেদ তথ্য অধিকার আইনে উত্তর দিচ্ছে না-তাও জানা সম্ভব হচ্ছে না।