ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

রাজশাহীর দুই সাংবাদিক , নওগাঁয় ওয়াকি টকি সহ গ্রেপ্তার

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৩৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয়ে সরকারি ওয়াকিটকিসহ  চাঁদাবাজি করার সময় ২ জন সাংবাদিকে আটক করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।তাদের একজনের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের সে বর্তমানে নগরীর শাহমখদুম এলাকায়  ভাড়া থাকে এবং অপর জন রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া বটতলা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

 

নওগাঁ সদর থানার উপ পরিদর্শক (এbস আই) মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৭ ডিসেম্বর সদর থানা এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে ওয়াকি টকি (ওয়ার্লেস) নিয়ে তারা চাঁদাবাজি করার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয় । পরে তাদের  সিডিএম যাচাই করে জানা যায় এসএম রানার নামে পূর্বেও  কয়েক ডজন মামলা রয়েছে।

অপরজন রমজানের সে ধরনের কোন অপরাধের প্রমান পাওয়া যায়নি।তাদের ধারনা সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে,  রমজানের বেলায় তাই হতে পার।তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রমজান সহজ-সরল ছেলে।সে ঢাকার ৩ টি পত্রিকায় রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে। তবে সে কেন এই দাগী প্রতারকের সাথে, সেটা নিয়ে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে এমএস রানা একজন আন্তর্জাতিক প্রতারক সে পূর্বেও নারী নির্যাতন মামলায়  দীর্ঘ সময় নওগাঁ কারাগারে হাজত বাস করেছেন। এ ছাড়াও নওগাঁয় এর পূর্বে চাঁদাবাজি করতে এসে জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।

 

 ভোলাহাট থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,রানা চলতি বছরের অক্টোবর মাসে  চাঁপাইনবাবগঞ্জে আটক হয়ে সেখানেও হাজত বাস করেন।  তার নামে দুই ডজন মামলার সন্ধান মিলেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

 

থানার গ্রামের ভোলাহাট থানার এক সাংবাদিক জানান, রানা বিয়েপ্রেমী,বিয়েকরা- তালাক দেয়া তার নেশা। তার স্ত্রী রয়েছে প্রায় ১৪টির উপরে। এদের অনেকের ডিভোর্স হয়েছে ,আবার অনেকেই মামলাও করেছে। তার রাজশাহীর এক সাবেক  স্ত্রী ও নওগাঁর একজন সাবেক বিজিবির মেয়ের করা মামলার আদালতে চলমান। রানা নিজেকে ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা, বিজিবি সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করছিল।

 

জানাগেছে রাজশাহীর শাহমখদুম থানা এলাকার একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছত্র ছায়ায় রানা সেই এলাকায় থাকেন। অভিযোগ রয়েছে এই সব নামধারী নেতাদের সে নারী সরবরাহ করত। রানার অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে সেই প্রতিবেদকের নামে ও মামলা হামলা করেন এমন একাধিক অভিযোগ ও রয়েছে। তার আটকের খবরে সাংবাদিক সমাজ স্বস্তির নিস্বাস ফেলেছে।

 

 এক সময় শাহমখদুম থানার দুই একজন নারী লোভী পুলিশ সদস্য ও জামাত-বিএনপির একটি অনলাইনের এক সাংবাদিক সাহায্য করত এই রানাকে ।এরই ফলে রানা বেপরোয়া হয়ে উঠে।রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সুত্র অনুযায়ি ,দীর্ঘ সময় হাজত বাসও করেছেন তিনি।

 

কিছুদিন পুর্বে এমএস রানার চাঁপাই নবাবগঞ্জে আটক নিয়ে রাজশাহীর কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় ।এরই ধারাবাহিকতায় রানা জামিনে মুক্ত হয়ে মুঠো ফোনে সেই গণমাধ্যম কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সেই কথোপতনের  রেকর্ড রয়েছে রাজশাহীর গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট। 

 

প্রশাসনের একটি সুত্র জানায়  রানার সাথে যারা রিতিমত যোগাযোগ করত তাদের  খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রশাসন। এমন ওয়াকি টকি নিয়ে ভুয়া পরিচয়ে চাঁদাবাজির সাহস তারা  কোথায় পেলো। পর্যায় ক্রমে  তাদের ইন্ধন দাতাদের আইনের আওতায় আনাহবে বলেও জানান সুত্রটি।