কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ শ্রাবণ গাজীর কবর জিয়ারত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা সাভার ডেইরি ফার্ম এলাকায় শহীদ শ্রাবণের কবর জিয়ারত করেন তারা। কবর জিয়ারত শেষে নেতা-কর্মীরা শহীদ শ্রাবণের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শহীদ শ্রাবণ গাজী মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। গত ৫ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সাভার এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি হাসান, যুগ্ম সম্পাদক রাধেশ্যাম বিশ্বাস রাজেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ অনিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরণ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মেহেদি হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল আমিন তমালসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।
কবর জিয়ারত শেষে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট শহীদ শ্রাবণ গাজীর কবর জিয়ারত করেছি। শ্রাবণের পরিবার দাবি জানিয়েছে, যাতে তার নামে কোনো স্থাপনা করা হয় অথবা কোনো স্থাপনার নামকরণ করা হয়। আমরা তার পরিবারের দাবির সাথে পুরোপুরি একাত্মতা ঘোষণা করেছি। শ্রাবণ গাজীদের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার শাসকের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, জুলাই-আগস্টে যেসব বীর সন্তানদের জীবনের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় তারা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শহীদ শ্রাবণ গাজী সাভার অঞ্চলে জীবন দিয়েছিলেন। আমরা তার কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সাথে দেখা করেছি। তার পরিবারের পাশে ছাত্রদল সবসময় থাকবে।