সুনামগঞ্জে গুণীজন শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সাজনা বেগম (১৬) এর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ২ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ। এদিকে সাজনার এই ধরনের রহস্যজনক মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ময়না তদন্ত শেষে রবিবার রাজনার লাশ দাফন করার পর পরিবার সহ এলাকায় বইছে শোকের মাতম। রাজনার পিতা ইসরাইল আলী সহ এলাকার সর্বস্তরের জনগনের একটাই দাবী এই ধরনের হৃদয় বিদারক হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকান্ডে জড়িতদেরেকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানানে হয়।
এ ঘটনায় গতকাল রবিবার পাথারিয়া ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য নিহত সাজনার আত্নীয় আব্দুর রাজ্জাককে থানায় নিয়ে এসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর শান্তিগঞ্জ থানার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়ে ২৩ জুলাই রবিবার রাতে মেয়ের পিতা বাদী অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আরও জানান হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না,যেকোন মূল্যে রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে,বিগত ২২ জুলাই জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের শরীফপুর তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন গ্রাম্য রাস্তার পাশ থেকে পাথারিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার মেয় সাজন বেগম (১৬) নামে এক কিশোরীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছিল শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাজনা বেগম (১৬) শুক্রবার রাতে তার পিতা-মাতা ও পরিবারের লোকজনদের সাথে রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার (২২ জুলাই) ভোরে সাজনা বেগম(১৬)কে তার পরিবারের লোকজন বসত ঘরে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার(২২ জুলাই) সন্ধ্যায় শান্তিগঞ্জ থানার পাথারিয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের শরীফপুর তালুকদার বাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে পথচারী লোকজনে একটি বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঐ কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করেন।