প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে সরকার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নীতিনির্ধারণী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণ বন্ধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। আর সেন্ট মার্টিনে পর্যটক ভ্রমণও সীমিত করা হবে শিগগিরই।
এতে পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর দ্বীপ রক্ষায় সরকারি সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ পরিবেশবাদীদের।
পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে যাতায়াত করে ১০টি পর্যটকবাহী জাহাজ। এসব জাহাজে প্রতিদিন প্রবাল দ্বীপে ছুটে যান ৫ হাজারেরও বেশি পর্যটক। এতে নষ্ট হচ্ছে দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। তাই প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সুরক্ষায় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল সীমিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে এই নৌরুটে মাত্র দুটি জাহাজ চলাচল করলে কয়েক হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণবঞ্চিত হবেন। অন্যদিকে পর্যটন শিল্পে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে ন্যূনতম তিন হাজার পর্যটক যাতে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার অনুমতি পান।
সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘আমরা কখনো পরিবেশের বিরুদ্ধে নই। পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে কাজ করি। ইনশাআল্লাহ, সেন্ট মার্টিনের পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।’
আর দ্রুত দ্বীপকে রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি পরিবেশবাদীদের।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, সেন্ট মার্টিনে বর্তমানে যে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতির অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই যে ১৩টি সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। দুটির চেয়ে বেশি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
সেন্ট মার্টিনের সুরক্ষায় বাস্তবায়নের আওতায় চলতি মাসে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদফতর।