কয়দিন হয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন শেষ হতেই গঠন হয়েছে নতুন সরকার। নতুন সরকারের মন্ত্রীরা নিজ নিজ দপ্তরে দায়িত্ব নিয়েছেন। সংসদ নির্বাচন আর সরকার গঠনের আমেজ শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ। আগামী কিছুদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ওই নির্বাচন। সিলেট বিভাগের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ওই আমেজ। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে ছুটে চলেছেন ভোটারদার দরজায়। অনেকে সংগঠনের ব্যানারে করছেন উঠান বৈঠক।
সিলেট জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হকের সমর্থনে মঙ্গলবার রাতে সিলেট সদর উপেজলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আজিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন এজাজুল হক এজাজ।
এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবদুল জলিল, আফিকুর রহমান আফিক, ইউনিয়ন মেম্বার কাজল আহমদ, ইউনিয়ন পরিষদ মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগম ও শিউলি বেগম, ডা. রফিকুল ইসলাম, মুরাদ আহমদ, সোহেল আহমদ, সুন্দর আলী, মখলিছুর রহমান, সিরাজ আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাহেদ আহমদ।
বক্তব্যের শুরুতেই নেতৃবৃন্দ মনের কথা তুলে ধরতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। জনপ্রতিনিধিরা এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো দাবি তুলে ধরলে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সিলেট শহরতলির খাদিমনগর এলাকা সেই উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষার দিক দিয়েও। কর্মীবান্ধব নেতার অভাবত রয়েছেই। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে উন্নয়নবান্ধব জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। আসন্ন নির্বাচনে ওই ধরণের একজন নেতাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার জন্যে উঠান বৈঠক থেকে দাবি তোলা হয়। বক্তারা এজাজুল হক সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, তিনি একজন পরিচ্ছন্ন, কর্মীবান্ধব ও উন্নয়নবান্ধব নেতা। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীকে বঞ্চনার শিকার হতে হবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এজাজুল হক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্যে তাকে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে তিনি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইবেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হলে এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন এলে নানান ধরণের চাপ আসে। ওই চাপকে তিনি জয় করার অঙ্গিকার করেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কর্মী।