ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পরই জানা গেল শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সোমবার ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে যান। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে তাকে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসিনার ইচ্ছা ছিল তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে ইচ্ছুক নয় যুক্তরাজ্য।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানাও। তবে রেহানার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, রেহানা অল্প সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যে যাবেন। তবে তার সঙ্গে হাসিনাও যাবেন কি না সেটি নিশ্চিত নয়।
শেখ হাসিনা সোমবার ভারতে পৌঁছে প্রথমে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভাল এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা তাদের কাছে ‘অল্প সময়ের মধ্যে’ জরুরিভিত্তিতে আশ্রয় চান। এ সময় হাসিনা আরও জানান, ভারতে অল্প সময়ের জন্য অবস্থান করবেন তিনি। খুবই অল্প সময়ের নোটিশে, অল্প সময় অবস্থানের জন্য হাসিনা ভারতে আসার অনুমতি চান।
তিনি জানান, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন আশাও ব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৮ হাজার জন ফিরে এসেছেন। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের উপর তাদের নজর থাকবে।
সূত্র: নিউজ-১৮