বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তি গুলো কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সামনে প্রকাশ করছে না? প্রকাশ করুন। এই চুক্তি গুলো জানতে চাই। আমরা ছিটেফুটা যা জানতে পারছি সেটাতো অত্যান্ত ভয়ংকর, বিপদ জনক, সর্বনাশা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জাপানের রূহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আদানির সাথে যে চুক্তি এটাতো কোনো স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকার, কোনো গণতান্ত্রিক সরকার, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী কোনো সরকার করতে পারে না। ভারতের একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে রাষ্ট্র কি করে চুক্তি করে? প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম আদানি নেয় ১২ টাকা, বাংলাদেশে যেটা উৎপাদন হয় সেটা আরও কম।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আদানির সাথে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সাথে কোন চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দিবে?
আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে বিএনপির মধ্যে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কোনো ঘাতক, আওয়ামী লীগের কোন সন্ত্রাসী দলের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। নতুন করে দলের মধ্যে আসতে পারবে না। ১৫ থেকে ১৬ বছরের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, অপরাধীদের বিচার হতে হবে।
রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারকে সমর্থন করা হয়েছে। সংস্কারের কথা মেনে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু সেটা যদি দীর্ঘদিন হয়, গণতন্ত্রে ফেরার ব্যাপারটি যদি অনিশ্চিত হয় তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি বটে কিন্তু গণতন্ত্র তো আসেনি।
বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে দেয়া গতকালের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, গণভবনে প্রবেশ করতেই বড় বল রুমে সব রাষ্ট্রপতির ছবি টাঙানো আছে। আমি ভেবেছি সেখান থেকে ছবি নামানো হয়েছে। কিন্তু এটা ছিলো শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ আইনের মাধ্যমে সকল সরকারি অফিস আদালতে বাধ্যতামূলক টাঙানোর যে ছবি, সেটি। এটি তো ফ্যাসিবাদী আইন। ফ্যাসিবাদের আইন আমরা মানবো না। অফিস আদালত যেখানেই আছে, সেখানেই আমরা প্রতিহত করবো।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে