সৈয়দপুর রেল কারখানার মাষ্টার ড্রেন দখল করে মার্কেট নির্মান ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা জন্ম নেয়। ২০১০ সালে আদালত কর্তৃক উক্ত ড্রেনের মালিকানা রেল কর্তৃপক্ষ পায়। মাননীয় আদালত পৌরসভাকে ৬০ দিনের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং পৌরসভার উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। উক্ত আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ২০২২ সালে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ উক্ত জমিতে মার্কেট নির্মানের জন্য পুনরায় ৬৩ লক্ষ টাকার টেন্ডার আহব্বান করে। রেলের ভূমিদস্যুতার সংবাদ স্থানীয় দৈনিক দাবানল পত্রিকায় প্রকাশিত হলে উক্ত কাজের ঠিকাদার ও ভূমিদস্যু চক্র সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হককে গত ৮ই এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে শহরের জনবহুল এলাকায় আক্রমন করে। জনগনের বাধার মুখে সেটি ব্যার্থ হয় এবং ঘটনা ঘটার ১০ মিনিটের মধ্যেই সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হত্যা চেষ্টাকারীদের নিয়ে শহরে একটি মহড়া দেয়। উক্ত সাংবাদিক উপজেলা কমিটির ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হওয়ায় ৯ই এপ্রিল সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এই জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। অপরপক্ষে ১০ই এপ্রিল আওয়ামীলীগের বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক পেটানো মূল আসামীদের সাথে নিয়ে একটি পথসভা করেন পথসভায় তিনি উক্ত সাংবাদিককে পা দিয়ে মারার নির্দেশ দেন এবং উক্ত সাংবাদিক ও দলীয় কর্মীর নামে মিথ্যা হয়রানীমূলক দুইটি চাঁদাবাজির মামলা দেন।
গতকাল ৮ই মে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিক সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসলে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নের্তৃত্বে দুইটি গ্রুপ নেতার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং নেতা উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। পরে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা আওয়ামলীগের সভাপতিসহ স্থানীয় একটি বিলাসবহুল রেষ্টুরেন্টে চা চক্রে যোগদান করেন সেখানে সাংবাদিক ও উপজেলা কমিটির ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদককে পেটানো সেই সকল সন্ত্রাসীরা শফিক সাহেবের পিছনে দাড়িয়ে ফুরফুরে মেজাজে সেলফি তুলছেন। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ফেসবুক আইডি থেকে সেইসব ছবি পোষ্ট দেয়া হয়, ছবিতে দেখা যায় সাংবাদিক পেটানো সেইসব সন্ত্রাসীরা জনাব শাখাওয়াত হোসেন শফিক সাহেবের পিছনে বুক ফুলিয়ে দাঁিড়য়ে আছেন। উক্ত ছবি দেখে শহরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, একাধিক আওয়ামী নেতা বলছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সন্ত্রাসী দল থেকে বহিস্কার করতে হবে অথচ এই ছবিতে সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোষ্ট করে তার নির্দেশকে অবমাননা করা হয়েছে।