ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাতকানিয়ায় পল্লীর ভূতুড়ে বিলে গ্রাহকের ক্ষোভ ,সমাধানের আশ্বাস কর্মকর্তার

জোবাইর বিন জিহাদী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া জোনাল অফিসের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নামে আগস্ট মাসে ভূতুড়ে বিল এসেছে।অধিকাংশ গ্রাহকের নামে দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিল তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এতে ক্ষুদ্ধ দিশেহারা গ্রাহকেরা,তবে সমাধানের আশ্বাস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
 
সাতকানিয়া জোনাল অফিসের আওতাধীন গ্রাহকদের অভিযোগ, গত দুই তিনমাসের তুলনায় আগস্ট মাসে বিল এসেছে দেড়গুণ দ্বিগুণ।কারো কারো অভিযোগ দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা সমালোচনা।তবে সমাধানের জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে যাচ্ছেন অনেক গ্রাহক।সমাধান মিলছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
 
মিনহাজ উদ্দিন নামক একজন জানান, মোজাহেরুল ইসলাম নামক বিলে আমার বাড়িতে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসসহ বিগত মাসগুলোতে বিল ছিল ২১৬ টাকা,২২০ টাকা কিংবা ৪০০ টাকা।সেখানে আগস্ট মাসের বিল এসেছে ৮৭৫ টাকা।
 
আরিফুল ইসলাম নামক আরেকজন জানান, লায়লা বেগম নামে আমার আগস্ট মাসের বিল এসেছে একহাজার টাকা।যা একেবারে প্রত্যাশার বাহিরে।
 
ফরহাদ রাজ নামক একজন জানান,অতিরিক্ত বিল আসতেছে।যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিল আসতো সেখানে এখন আসছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।
 
তবে গ্রাহকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জানান, আগস্ট মাসে অতিরিক্ত বিল আসলেও আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিলের কপি নিয়ে গিয়েছি।অতিরিক্ত বিল কমিয়ে স্বাভাবিক বিল নিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে।
 
অন্যদিকে দেখা গেছে, শুধুমাত্র সাতকানিয়া নয়,আগস্ট মাসে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ চট্টগ্রাম শহরসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদেরও।
 
জাহেদুল ইসলাম পারভেজ নামক একজন জানান, চট্টগ্রাম শহরে প্রিপ্রেইড মিটারে যেখানে অন্যান্য সময় নরমালি সাতশো থেকে আটশো টাকা বিল আসতো সেখানে এখন (আগস্টে) এসেছে দুই হাজার টাকা।
 
নওশিন নামক চট্টগ্রাম কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের চন্দনাইশে মাত্রাতিরিক্ত বিল আসে।আমাদের দুই তিনমাস মিলে একটাতে আসছে ১১ হাজার,আরেকটাতে ১৫ হাজার।
 
এদিকে সাতকানিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, কাজগুলো আমার দায়িত্বে না।এগুলো আসলে তিন সেক্টরে বিভক্ত।অর্থ বিভাগের যিনি প্রধান আছেন অফিস টাইমে ওনার কাছে আসলে ওনি অবশ্যই সমস্যাগুলো সমাধান করে দিবেন।প্রতিদিন অসংখ্য সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছেন।
 
স্থানীয় এক বাসিন্দা ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান পল্লীবিদ্যুৎ এর ব্যয়বহুল ও সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে বিকল্প সৌরবিদ্যুৎ ও খাল-নদী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান ও এলাকা সমৃদ্ধির মতামত তুলে ধরেন নিজস্ব একটি পোস্টে।