সিলেটি ধামাইল গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় বিয়ের আগের রাতে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি ও পরের দিন সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। শুক্রবার ০৪ আগস্ট ২০২৩ইং, দুপুরে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বেতাহুঞ্জা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বেতাহুঞ্জা গ্রামের আজমত মিয়ার ছেলে কয়েছ মিয়ার বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়। গতকাল শুক্রবার বিয়ে উপলক্ষে আগের রাতে বরের বাড়িতে ধামাইল গান গাইতে এলাকার কিছু ছেলে সমবেত হয়। তখন ওই এলাকার চেরাগ মিয়া, এরাগ মিয়া এবং লালা মিয়ার সন্তানদের সঙ্গে ইসকার মিয়া ও মিসকার মিয়ার ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উভয়পক্ষের বিরোধ মিটমাট করেন।
পরে বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষদেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে নারীসহ ৫০ জন আহত হন। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ থামার পর রাজনগর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, হৃদয় মিয়া (১৮), নাসেল মিয়া (৪৫), মিলু (১৮), আশ্বব মিয়া (৬০), মিছকার (৫৫), সুন্দর মিয়া (৬৫), সেলিম (৩৫) , আবু কালাম (২৪), আকবর (২২), আমিন মিয়া (১৮), বাক্কর মিয়া (৫২), আয়াতুন বেগম (৫৫), হোসেনা বেগম (৩৫), লায়লুছ মিয়া (১৮), মাহিম (২৮), ফরিছ মিয়া (৩৫), জুবেল মিয়া (১৮), শাকিল মিয়া (২১), শানাই মিয়া (৪৫) আয়াছ (২৮), আহাদ মিয়া (৬৫), আব্দুস সালাম (১৮), মিজানুর রহমান (৪০), পাবলু মিয়া (১৮), ইদাই মিয়া (৪৫), শামিম (৩২), এবাদুর রহমান (২৭), ইসকার মিয়া (৬৫), আজাদ মিয়া (৬৫), ইদুকার মিয়া (৬২), হাবিবুর রহমান (১৮) মতি মিয়া (৩৬), আব্দুল হাকিম (২০), সেকাদ আলী (৩০), পাপ্পু (২৩), আছকির আলী (৪৪) রমজান আলী (২১), মাহমুদুল আহমদ (১৮), নাজমুল (১৪), মুক্তার মিয়া (৭০), নাসাই মিয়া (৫০), মিলু আহমদ (১৮) প্রমুখ।
গুরুতর আহত হৃদয় মিয়া, নাসেল মিয়া, মিলু ও আশরাফ মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, উভয় পক্ষ নামাজে যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। দুই পক্ষের কাউকে এ পর্যন্ত আটক করা হয়নি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় এসে মামলা দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।