গাভীর মুখে দিলে ঘাস,দুধ পাবেন বারমাস।সুস্থ সবল জাতী চান,দুধ ডিম মাংস খান এ স্লোগানে পালিত হচ্ছে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। মিরসরাইয়ে দিনব্যাপী উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলা স্টেডিয়ামে এলডিপি প্রকল্পের আওতায় প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ডাঃ জয়িতা বসুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাণিসম্পদ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডাঃ মো. আশরাফুল আলম খান, প্রাণিসম্পদক সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন, ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বিপ্লব, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল আলম দিদার, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, মিরসরাইয়ে দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি হওয়ার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। পষুর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে কবুতর ও পাখি পালন জুরুরী। খামারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে বৈরী পরিবেশ মোকাবেলায় দক্ষ হয়ে উঠবে তারা। বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন পালন, চিকিৎসা খামারীদের জানতে হবে। উন্নত জাতের পশু পাখি পালনের আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান অর্জন জরুরি। আমি খামারীদের সুবিধার্থে মোবাইল হাসপাতাল চালু করার ব্যবস্থা করছি। এসবের ফলে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে উন্নত জাতের গাভী, ষাঁড়, ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল, বিভিন্ন জাতের হাস-মুরগী, জার্মান সেপার্ড ডগ, কার্পেট ডগ, বিভিন্ন সৌখিন পাখি, প্রাণীদের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন ওষুধ, খাদ্য, দুগ্ধজাত পণ্য (মিষ্টি, দই, ঘি, ছানা) সহ প্রায় প্রায় ৪০টি স্টল প্রদর্শিত হয়।