যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমদিন অফিস করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ও বিকেলে যান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। সেখানে ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরে মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী।
এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন নাজমুল হাসান পাপর। এ সময় নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের স্টেডিয়ামসহ যথেষ্ট পরিমাণ ক্রীড়া অবকাঠামো রয়েছে।
‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্টেডিয়াম এর চেয়েও আমাদের খেলার মাঠ বেশি জরুরি। যেটি আমাদের তরুণ প্রজন্মসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। খেলোয়াড় সৃষ্টিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এর পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’
শুধু ক্রিকেট নয়, তিনি সব ধরনের খেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন বলেন তিনি। পাপন বলেন, ফুটবল ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাতেও আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো, যারা আমাদের থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকে তাদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
‘আগামী তিন বছর পর তারা কোথায় যেতে চাই, কি অর্জন করতে চাই সেটি তাদের জানাতে হবে। আমি অল্প সময়ের মধ্যেই ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটি ফেডারেশনের সাথে বসবো। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শুনবো।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক ফেডারেশন ভালো ফলাফল করছে। আমাদের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী ফুটবলাররা ভালো করছে। ছেলেরাও উন্নতি করেছে। শুটিং, আর্চারিসহ আরও অনেকে উন্নতি করছে। ক্রিকেটের মতো অন্যান্য খেলাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। এ সময়ে দেশের যুব গোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
এদিন সকাল ৯ টায় মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে আসেন এবং সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
পরে আনুষ্ঠানিক সভায় যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সভার পূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া পরিদপ্তর এর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এরপর বেলা ৩ টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দসহ ক্রীড়াঙ্গনের নানা স্তরের ব্যক্তিবর্গ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা গ্রহণ শেষে বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নতুন মন্ত্রী।