পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আসন্ন আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, সোমবার দুপুরে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস মার্কা) ১৫/২০ জনকে সাথে নিয়ে আর আতাইকুলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর কলেজপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে আসলে দুইপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। এ সময় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আর আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক আরশেদ আলী ভান্ডারী বলেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আশঙ্কায় প্রতিক পাওয়ার শুরু থেকে নৌকার লোকজন ভোট চাইতে দিচ্ছে না। নির্বাচনী পোস্টার ছেড়া থেকে শুরু করে অফিস ভাঙচুরসহ আমাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আমি শঙ্কার মধ্যে আছি।
নৌকার প্রার্থী মিরাজুল ইসলাম মিরাজ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার লোকজন হামলা করেনি। তৃতীয়পক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজনের উপর হামলা করেছে। আমারও অনেকে ভাল চায়না আবার বিদ্রোহী প্রার্থীরও শত্রু আছে। একটি পক্ষ আমাকে অপবাদ দিচ্ছে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন ভোট চাইতে গেলে হামলা-সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তির কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যরস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে পাবনার সাঁথিয়ার উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
