বগুড়ার আদমদীঘিতে জমি-জমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাগিনার ছুরির কোপে আহত শিক্ষক মামা আবুল কালাম আজাদ ৭ দিন পর চিকিৎসাধীন আবস্থায় ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছে। এ ঘটনার পর গত ২ এপ্রিল শনিবার আদমদীঘি থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ পল্টু হোসেন (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করলেও মুল আসামী ভাগিনা আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম (৩৫) কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের উথরাইল গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে সান্তাহার এইচ.এম পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ (৪৫) এর সাথে তার আপন ভাগিনা আনোয়ার হোসেন সাদ্দামের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে উভয় পক্ষের সমঝোতার জন্য গত ১ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় বৈঠকের দিন ধার্য্য হয়। ওই বৈঠকে ঘটনার মিমাংসা না হওয়ায় সকল লোকজন চলে গেলে ভাগিনা আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম শিক্ষক মামার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে ডান হাত ও ডান পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। স্থানীয়রা আহত ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি দেখে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় শিক্ষকের ভাই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম সহ ৭ জনকে আসামী করে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশ সাদ্দামের সহযোগি পল্টু হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল আসামী আনোয়ার হোসেন সাদ্দামকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে গুরুত্ব আহত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১ টায় সে মারা যায়।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মূল আসামী আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম সহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।