গাজা ও লেবাননজুড়ে ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা অব্যাহত থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন, এবং লেবাননে আরও ২১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান হামলায় আরও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে বর্তমান পর্যন্ত গাজার মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৭৩৬ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই দীর্ঘদিনের আগ্রাসনে আহত হয়েছেন আরও ১,০৩,৩৭০ জন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, একদিনে ২৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১১২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সেবা প্রদানকারী বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালানোর চেষ্টা করছে, তবে পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত জটিল এবং সংকটাপন্ন।
লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন সিভিল ডিফেন্স কর্মী। দক্ষিণাঞ্চলীয় নাবাতিহে এবং বালবেক শহরে সিভিল ডিফেন্স সেন্টারে ইসরাইলি হামলায় ১৮ জন উদ্ধারকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এতে লেবাননের গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৩৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে, এবং আহত হয়েছেন ১৪,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ।
এদিকে, লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, যার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর অপারেটিভ ও অস্ত্রাগার। পাল্টা আক্রমণ হিসেবে, হিজবুল্লাহও ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে এবং সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে আঘাত হানছে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে গাজায় মানবিক সংকটের চরম সীমা পার হয়ে গেছে। অন্যদিকে, লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। এসব হামলার কারণে তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে আরও একবার বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধবিরতির আহ্বান উঠেছে।
বায়ান্ন/এএস