ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

একটা জেনারেশন রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে: পার্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৩:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

দেশের চলমান রাজনীতির পরিস্থিতির কারণে একটা জেনারেশন রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।  

 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় রিমান্ড শুনানিকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।  

 

অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী বাশার রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন।  শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করে তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

 

রিমান্ড শুনানির একপর্যায়ে পার্থ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, রাজনৈতিক জীবনে অল্প সময়ে আল্লাহর রহমতে অনেক মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় যেতে পেরেছি। আমাদের মতো যারা পজিটিভ রাজনীতি করে, তাদের দেখে যেন আরও ১০টা ছেলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসে এটাই চাওয়া। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন হোক। রাজনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। রাতারাতি একটা দেশ পরিবর্তন হয় না। দেশের চলমান রাজনীতির পরিস্থিতির কারণে একটা জেনারেশন রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন যেটা কাম্য নয়। এখন একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা।

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

 

সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচতলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়।  

 

এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নকাণ্ডে ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, মিনিবাসসহ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।