ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

একসঙ্গে ৮ মিসাইল ছুড়ে ক্ষমতা দেখালেন কিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ জুন ২০২২ ১১:০৪:০০ পূর্বাহ্ন | আন্তর্জাতিক

চার বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী নিয়ে প্রথমবারের মতো সম্মিলিত সামরিক মহড়া চালিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৪ জুন) এ মহড়ার পর বসে থাকেননি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং ঊন।

পরপর ৮টি মিসাইল ছুড়ে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার (৫ জুন) নিজেদের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে আটটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পিয়ংইয়ং। এটিই সম্ভবত কিমের শাসনামলের সবচেয়ে বড় ও একক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া শেষ করার একদিন পর নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেন কিম। মূলত এটি তার ক্ষমতার প্রদর্শন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ অঞ্চলে সফর শেষ করার পর পিয়ংইয়ং পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।

এদিকে, কিমের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে জাপান সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিশিও বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। প্রতিনিয়ত তাদের এসব সহ্য করার মতো না। যে মিসাইলগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে একটির গতিপথ ভিন্ন ছিল। যা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কৌশল এড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।

পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে অন্তত আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ।

ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তার অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরেছে। যদিও এ ঘটনাটিতে তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি সৃষ্টি হয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জেমস মার্টিন সেন্টার ফর ননপ্রলিফারেশন স্টাডিজ’র (সিএনএস) সদস্য মাইকেল ডুইটসম্যান বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়াটি সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় একক পরীক্ষা। বিপুল সংখ্যক নতুন প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সামরিক মহড়া বা শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত দেয়।

খবরে আরও বলা হয়, উত্তর কোরিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি সুং কিম গতকাল সিউল ত্যাগ করেন। এরপরই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। পরীক্ষাটি সুং কিমের সিউল সফরের জবাব হিসেবেও মনে করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের পর উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গুঞ্জন রটেছে। যে কারণে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কয়েকজন কর্মকর্তা (নিজের সমকক্ষ) সঙ্গে দেখা করেন সুং কিম।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উত্তর কোরিয়া তার বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ (আইসিবিএম) একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।  

এর আগে গত সপ্তাহে বাইডেনের সফরের পর কিম যে পরীক্ষা চালান, তার জবাব হিসেবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এ প্রস্তাবে ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।