ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এমপি-মেয়র দ্বন্দ্ব : সংঘর্ষের আশংকা।। শার্শায় আওয়ামীলীগের দু‘গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৪ নভেম্বর ২০২১ ০৭:০৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে যশোরের শার্শা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের দু‘পক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে থাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা। সহিংসতা বেড়ে চলেছে। ভোটাররাও পড়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। এ অবস্থায় সাধারন ভোটাররা শংকিত। বিরোধীদল নির্বাচনে অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীনদলের প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে গোগা, বাগআঁচড়া, পুটখালি, উলাশী ও ডিহি ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে নির্বাচনী ক্যাম্প। আর এসব করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের দু‘গ্রুপের মধ্যে। নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উভয় পক্ষের প্রার্থীদের। দলীয় নির্দেশনা না মেনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শার্শায় ১৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

শার্শার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। যেখানেই নৌকা প্রার্থী সেখানেই আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। শুধু মাত্র শার্শা সদর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। কোন্দলের কারণে কয়েকটি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীনদলের ভরাডুবির আশংকা করছে ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি দলের মধ্যে বিভক্ত শুরু হয়ে গেছে। ১০টি ইউপি‘র মধ্যে ৬টিতে এমপি ও ৪টিতে মেয়র গ্রুপের সমর্থক প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। তারপরও ১০টি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের লড়াই করতে হবে নিজ দলের শক্তিশালি বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে। এর ফলে তাদের জয়ী হওয়াটাও কস্ট সাধ্য হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন এলাকার ভোটাররা। তবে প্রার্থীরা গোপনে এমপি ও মেয়রের সাথে গোপন যোগাযোগ রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ মুহুর্তে এসে বলা যাচ্ছে না কে এমপির প্রার্থী আর কে মেয়রের প্রার্থী বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। 

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শার্শা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন  ৪৩ জন। এছাড়া ৯০টি সাধারন মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০৭ জন এবং ৩০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯৭ জন প্রার্থী। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৮ হাজার ২০০ জন ও নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩ জন বলে শার্শা উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে দফায় দফায় আচরন বিধি ও আইন শৃংখলা রক্ষায় সভা করেছে প্রশাসন।