আর অল্প কিছুক্ষণ পরেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে। শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে দোয়েলচত্বর এবং মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্যও আওয়ামী লীগের সম্মেলনেকে কেন্দ্র করে গৃহীত নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মোতায়েন রয়েছেন। এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রবেশ গেটগুলোতে দেখা যায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার চিত্র। প্রতিটি গেটে রয়েছে আর্চওয়ে। এছাড়া প্রতিটি গেটে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কয়েক ধাপের তল্লাশি শেষে নেতাকর্মীদের উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কোনো ধরনের হুমকির তথ্য না থাকলেও সব কিছু বিবেচনা করেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। সাজোয়া যান (এপিসি) থেকে শুরু করে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্মেলনস্থলের আশপাশে রাখা হয়েছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ রাজধানীর টিএসি এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল ডিএমপি কমিশনার যে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেগুলো নেওয়া হয়েছে আজকের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে। এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। মানুষজন উৎসবমুখর পরিবেশ আসছে এবং আমাদের সহযোগিতা করছেন। এছাড়া সব বিষয়কে মাথায় রেখেই আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছিলেন, নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র্যাবসহ সবাই মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেকটা গেটে আর্চওয়ে স্থাপন করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। এছাড়া, আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং, ম্যানুয়াল সুইপিং। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে।