করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কাতারে তিন সপ্তাহ বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন দাবি করেছে।
মহামারিতে শিশুর প্রাণহানির এই বিরল ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে কাতার জানিয়েছে, দুঃখজনকভাবে করোনায় তিন সপ্তাহ বয়সী একটি শিশু মারা গেছে। সে করোনা মহামারিতে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল।-খবর আল-আরাবিয়ার
মারা যাওয়া শিশুটির আগে থেকে কোনো স্বাস্থ্য কিংবা বংশগত রোগ ছিল না। মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটিতে এবার দ্বিতীয় কোনো শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা অহরহ না। কিন্তু বেশ কয়েকটি দেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, ওমিক্রন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর শিশুরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
কাতারি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভয়াবহ করোনা আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্কদের চেয়ে শিশুদের ঝুঁকি একটু কম। কিন্তু বর্তমান ঢেউয়ে বিপুল সংখ্যক শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আগের ঢেউয়ের চেয়ে তাদের চিকিৎসা সেবাও বেশি নিতে হয়েছে।
তেলসমৃদ্ধ কাতারে এখন পর্যন্ত তিন লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলো থেকে ২৬ লাখ জনসংখ্যার কাতারে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। ডিসেম্বরে উপসাগরীয় দেশটির চিকিৎসা ও প্রশাসনিক কর্মীদের সব ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
ওমিক্রনে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ইউনিসেফ বলছে, করোনায় বিশ্বব্যাপী যে ৩৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ০.৪ শতাংশের বয়স ২০ বছরের কম। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশুর বয়স ৯ বছর বা তারও কম।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিরর প্রথমার্ধ পর্যন্ত দেশটিতে ৪ বা তারও কম বয়সী ২৫৯টি শিশুর মৃত্যু কোভিডের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।