ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইউপি কার্যালয় ভাংচুর আহত-১৫

কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ ১২:৩২:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মালেক মোল্লা, শরিফুল মোল্লা, বসির মোল্লা, আমিরুল মোল্লা, গফুর মোল্লা, সোহান মোল্লা, শরকত মোল্লা, আলাউদ্দিন, নজির মোল্লা, সেলিম মোল্লা ও শাহজাহান মোল্লা, আকবর আলীসহ অজ্ঞাত ১৫ জন। এরমধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা আব্দুল মালেক মোল্লা ও শরিফুল মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন আগে শরিফুল মোল্লার অনুসারী বাবলু হোসেন ঘেনাকে মারধর করে মালেক মোল্লার অনুসারীরা। এরপর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার বিকেলে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার দুই গ্রুপের মধ্যে মীমাংসার জন্য ডাকেন। কিন্তু সাংসদের উপস্থিত হওয়ার আগেই তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় দু’গ্রুপের মধ্যে। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় জামালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন কক্ষের দরজা আটকিয়ে দেন। দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জামাল ইউনিয়ন পরিষদের ভবন ভাংচুর করা হয়। এরপর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। মালেক মোল্লা স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ও শরিফুল মোল্লা ইঞ্জিনিয়ার সাগর গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুল হোসেন জানান, শরীরে আঘাত নিয়ে বুধবার বিকেলে ৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে ৬জনকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলে জামাল ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে স্থানীয় এমপির উপস্থিত হয়ে দু’পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।