ভয়াবহ ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরকারকে রবিবার দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে জাহাঙ্গীর সহযোগীদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করান। বনভোজনের নামে কখনো বিমানে আবার কখনো প্রাইভেটকারে কক্সবাজারে যায় জাহাঙ্গীরের সহযোগীরা।
এরপর গাড়ির বিশেষ একটি চেম্বারে লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসে। গাজীপুরসহ ঢাকার উত্তর অংশে বিক্রি করে।
মহাজনের কাছ থেকে প্রতি পিস ইয়াবা ৭০ টাকায় কেনে তারা। পরে তা ঢাকা হয়ে চলে যায় গাজীপুরে। প্রতি পিস ইয়াবা ৭০ টাকায় কিনে বিক্রি করত ২৫০ টাকা করে।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর ধরে ইয়াবা কারবারে জড়িত জাহাঙ্গীর। এলাকায় এ নিয়ে কানাঘোষা হলেও কেউ তার প্রভাবের ভয়ে মুখ খোলেননি। এরই মধ্যে অনেক টাকার মালিক বনে যান জাহাঙ্গীর।
প্রায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে কেনেন প্রাইভেটকার। শ্রীপুরের এমসি বাজার ইজারা নেন প্রায় ৮৪ লাখ টাকায়। পুরো জেলায় তার ইয়াবা সিন্ডিকেট আছে। এর আগে তার কয়েকজন সহযোগী গ্রেপ্তার হলেও আড়ালে ছিলেন জাহাঙ্গীর সরকার।
জাহাঙ্গীর সরকারের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটী ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ইকবাল সরকার। দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর ছোট। তাঁর বড় ভাই আলমগীর সরকার ডেকোরেটর ব্যবসায়ী।
জাহাঙ্গীর সরকারের বাবা ইকবাল সরকার তেলিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের (দুই নম্বর ওয়ার্ড) দুই দফা মেম্বার ছিলেন। পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারও মেম্বার পদপ্রার্থী তাঁর বাবা।
এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সহযোগীরা ধরা পড়তেই গা ঢাকা দিয়েছেন জাহাঙ্গীর। সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকেলে জাহাঙ্গীরকে এলাকায় দেখা গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, মাদকসহ জাহাঙ্গীর কখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা তাঁকে ছাত্রলীগের একজন নেতা ও বাজার ইজারাদার হিসেবেই জানতাম। এখন তাঁর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।