গাজীপুরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আছমা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করলে সঙ্গে থাকা সাত মাসের শিশু সাওদা কেউও যেতে হয় কারাগারে।
বৃহস্পতিবার রাতে ৫০০ গ্রাম গাজাসহ ওই শিশুর মা আছমাকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এরপর শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটককৃত গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ গ্রামের কালীবাড়ি এলাকার আলমের স্ত্রী এবং ইয়াকুব আলীর মেয়ে আছমা (৩২)।
জানা যায়, আছমা নামের ওই নারীর ৭ মাসের একটি বাচ্চা আছে। দুধের ওই শিশুকে নিয়েই তিনি জেলে থেকেছেন। মাদক ব্যবসায়ী দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া শিশু সাওদাকে দেখাশোনা করার মত কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মায়ের সঙ্গে থানায় আসতে হয় সওদাকে। পরের দিন অবুঝ শিশু সাওদাকে আবারও মায়ের কোলে ঝুলে যেতে হয় কোর্টে। সেখান থেকে আইনী প্রক্রিয়ায় ফের মায়ের কোলে ঝুলে যেতে হয় জেল হাজতে। স্বামী- স্ত্রী দুজনেই এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের একাধিক মামলার আসামিও তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ আছমার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আছমার স্বামী আলম পালিয়ে যায়। অভিযানে মাদকসহ আছমাকে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে সাওদাকে নিয়ে থানা হাজতে ছিলেন আছমা। আছমা ও তার স্বামী আলমের নামে বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে। সবশেষ গত কয়েক মাস আগে আছমাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
শ্রীপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বলেন, আলমকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। পরে তার বসতঘর থেকে ৫০০ গ্রাম গাজাসহ আছমাকে গ্রেফতার করা হয়। আসমার ৭ মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশুকে দেখাশোনা করার কেউ না থাকায় শিশুটিকে মায়ের সঙ্গে জেলে যেতে হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ওই নারীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে