কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং থেকে আব্দুল আউয়াল(৬) নামে এক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় অপহৃত স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে মোহাম্মদ সায়েম (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
রবিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় অপহরণ হওয়া শিশুটিকে পুলিশের চৌকস অভিযানে বিকাল ৪ টায় চকরিয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
অপহৃত স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়াল উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর পূর্ব নোনাছড়ি এলাকার মো: ইদ্রিছের ছেলে। এঘটনায় অপহৃত শিশু আব্দুল আউয়ালের পিতা মো: ইদ্রিছ বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
রবিবার স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়াল তার সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার সময় সকালে সাড়ে নয়টায় চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মল্লিক পাড়া এলাকা থেকে নাস্তার প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়াল কে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই এলাকার মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন প্র: সায়েম।
অপহরণ করে স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়ালের পিতার মুঠোফোনে কল করে অপহরণকারী মুক্তিপণ দাবি করে। এতে তিনি ৯৯৯ এ কল করে মুক্তিপণের বিষয়ে অবগত করে। পুলিশের চৌকস টিম বিকাল ৪ টায় অপহৃত আব্দুল আউয়াল কে উদ্ধার করে অপহরণকারী সায়েম কে আটক করেন।
অপহরণকারী মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন (প্র:) সায়েম উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর পূর্ব নুনাছড়ি একই এলাকার ওসমান গণি'র ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান; আব্দুল আওয়াল আদিল'কে প্রলোভন দেখিয়ে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় নিয়ে যায় ওই অপহরণকারী। পরবর্তীতে অপহরণকারী মোহাম্মদ সায়েমের তার মোবাইল থেকে স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়ালের পিতার মোবাইলে ফোন করে ছেলের মুক্তিপণ বাবদ ২ (দুই) লক্ষ টাকা দাবি করে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিদের্শে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিঃ) আঃ আজিজ শেখ এর নেতৃত্বে ওই অপহৃত স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়াল ও অপহরণকারীকে উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ বলেন; এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।