দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে জাতীয় পার্টি কোনো টাকা নেয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি বাংলাদেশের কোনো মানুষ যদি বলতে পারে আমি বা চেয়ারম্যান কারও কাছ থেকে দলের জন্য বা পার্টিকে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছি তাহলে আমি পদত্যাগ করব।
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগ আমাদের শত শত কোটি টাকা দিয়েছে, সেই টাকা কেন প্রার্থীদের দেওয়া হয়নি? আরে আমাদের শতকোটি টাকা কে দেবে? সরকার আমাকে কেন টাকা দেবে? সরকার যদি আমাকে টাকা দেয় তাহলে সেটি কি জানার বাকি থাকবে?
তিনি বলেন, দু’একজন ছাড়া বাকিদের আসল ব্যথা আমরা শতকোটি টাকা পেয়েছি, তাদের দেই নাই। অথচ, ইলেকশন ঠিকমত হয় নাই, তারা পাস করে নাই এইটা আসল ব্যথা না।
জাপার মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতার দায় জাপা চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের ওপর আসে। সেই দায়ভার নিতেও আমরা রাজি ছিলাম। তার মানে এই না, পাবলিকলি তারা এই ধরনের কথা বলবে।
এর আগে, রোববার নির্বাচনে ভরাডুবি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা বিশেষ সভা করেন। সেখানে তারা ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে হাইকমান্ড টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য জি এম কাদের এবং চুন্নুকে দায়ী করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা।
জাপার পরাজিত প্রার্থীদের দাবি, তৃণমূলের নেতাদের মতামতের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জি এম কাদের বেঈমান করেছেন। লাঙলের প্রার্থীদের মাথা বিক্রি করে সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন। সেই টাকার হিসাব চান তারা।
পরাজিত প্রার্থীদের সভার বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তাদের সভায় খুব বেশি প্রার্থী ছিল না। অল্প সংখ্যক ছিল। তার মধ্যে কিছু আছে যারা জীবনে ৫০০ ভোটও পাবে না। তারা ভোট করতে চেয়েছে, আমরা খালি রাখি নাই।