বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি- এই বিজয় একটি রোম্যান্টিক রেভ্যুলেশন। এ কথা বলার কারণ হলো, ছাত্রদের এই জনবল আপাতদৃষ্টিতে আমরা দেখছি বিগত প্রায় আড়াই মাসে অনেক জায়গায় বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে, সাম্য ও ঐক্যও অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশ বরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণ সভার আয়োজন করে ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) এবং অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ।
মঈন খান বলেন, এটা সম্যক অনুভব করতে হলে আজকে আমরা যে অবস্থার মধ্যে আছি, সত্যিকার মুক্তির জন্য মানুষ যেভাবে জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, সে আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আজকে এসে আমার মনে হয়েছে- আমরা সেই রোমান্টিক রেভ্যুলেশনের ধারাবাহিকতাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের মানুষ লড়াই করে স্বৈরাচারকে হারিয়েছে। দেশ এমনভাবে পঁচে গেছে যে, সেজন্য সংস্কার করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পুরোনো প্রতিহিংসায় বাংলাদেশের রাজনীতি আর ফিরবে না। কোনও সাম্রাজ্যবাদীর কাছে এ জাতি আর মাথা নত করবে না। গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে আমাদের ধারণ করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, অলি আহাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার অবদান এই বাংলায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, অলি আহাদের কন্যা ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ আরও অনেকে।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে