জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির কার্যকরী পরিষদ (জবিকস) এর নির্বাচন ২০২২ সম্পন্ন হয়েছে। জবিকস'র নতুন নেতৃত্বে এরশাদ মিয়া সভাপতি এবং মো. সাজ্জাদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে জবি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন ২০২২-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ৫৫ ভোট পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের এরশাদ মিয়া সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৭ ভোট। ৫৮ ভোট পেয়ে মার্কেটিং বিভাগের অফিস সহকারী মো. সাজ্জাদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল হোসাইন পেয়েছেন ৪২ ভোট।
নির্বাচনে ৬৩ ভোট পেয়ে মো. নাজমুল হক সহ-সভাপতি, ৫৭ ভোট পেয়ে মো. মিলন হাওলাদার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ৬০ ভোট পেয়ে মোঃ হেলালুদ্দীন কোষাধ্যক্ষ, ৫০ ভোট পেয়ে মোঃ ময়নাল হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫৩ ভোট পেয়ে মো. ইব্রাহিম ক্রীড়া, সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
৫১ ভোট পেয়ে মো. আতিকুর রহমান প্রচার সম্পাদক, ৫১ ভোট পেয়ে মো. আবুল হাসান দপ্তর সম্পাদক এবং ৬০ ভোট পেয়ে হ্যাপি আক্তার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও পঙ্কজ কুমার ব্যাপারী, মো. শাহ আলম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মোঃ গিয়াস উদ্দীন যথাক্রমে ৫৬, ৫৮, ৬০, ৫৭ ও ৫২ ভোট পেয়ে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন মো. ইসরাফিল ও মো. ইয়াসীন আরাফাত। এছাড়া মো. মনির হোসেন প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন।
নির্বাচনে ১০৮ জন ভোটারের মধ্যে ১০৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর জবিকস নির্বাচন ২০২২-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচনে হয়তো আপনারা কেউ বিজয়ী হয়েছেন আবার কেউ পরাজিত হয়েছেন, কিন্তু দিন শেষে আপনারা সবাই এক। বিজয়ী পরাজয়ী সবাইকে একত্রিত হয়ে নিজেদের অধিকার ও দাবি আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। ভাতৃত্ব বজায় সকলে একে অপরের পাশে থাকবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র উৎসব অনুষ্ঠানে টাকা খরচ না করে আপনাদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ছেলেমেয়েদের বৃত্তি বা বিয়েতে সহযোগিতা করা এমনকি প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবেন।