ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাবিতে ৩১৮ কোটি টাকার বাজেট, উপেক্ষিত শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাত

জাবি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১ জুলাই ২০২৪ ০১:২৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্টখাতগুলো বরাদ্ধ ৫ শতাংশেরও কম। ফলে উপেক্ষিত হয়েছে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খাতগুলো।
 
শনিবার (২৯ জুন) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে এ বাজেট পাস হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার এ বাজেট উত্থাপন করেন।
 
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুদান দেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্রে ৩৯ কোটি টাকা ৩২ লাখ টাকা আয় হবে।
 
অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়। সংশোধিত বাজেটের আকার ৩১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এ বছর সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
 
বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গবেষণা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৮৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পেনশন ও অবসরকালীন সুবিধা বাবদ বরাদ্দ ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ শতাংশ। পণ্য ও সেবা (সাধারণ আনুষাঙ্গিক) ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ। পণ্য ও সেবা (রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত) ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
 
এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৫ শতাংশ। যন্ত্রপাতি খাতের ব্যয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যানবাহন ক্রয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৬৬ শতাংশ৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৬৩ শতাংশ। অন্যান্য ও মূলধন জাতীয় বরাদ্দ ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৫৬ শতাংশ। অন্যান্য ব্যয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৪৪ শতাংশ৷ 
 
সিনেট অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার আবু হাসান, সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিরা।