সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মডেল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান করে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চোরাচালান ও ওয়ারেন্টভূক্তসহ ৭ আসামীকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএিম এর দিক নির্দেশনায় জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক টিম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান করে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চোরাচালান ও বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ১ মহিলাসহ ৭ আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটকৃকতরা হল- জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গর্দ্দনা গ্রামের মৃত নুরুল হক ঢুমাই মিয়ার ছেলে ইসমাইল আলী লালন (২২) সে ধর্ষণ মামলা ০৮ এর ২০০০ সনের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত/০৩ এর ৯ (১) ধারার মামলার পালাতক আসামী ছিল। উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের লামনীগ্রামের আব্দুল মালিক মাঙ্গাই’র ছেলে সিদ্দিক আহমদ (২৮) সে চাঁদাবাজী মামলা নং-০৬ এর ১৭০/৩৯৪/৩৪ পেলেন কোডের এজাহার নামীয় পলাতক আসামী ছিল। নিজপাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল হান্নান এর ছেলে আফজাল হোসেন লিপু (২১)। সে চোরাচালান মামলা নং ০৭ এর ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি-১(বি) এর এজাহার নামীয় ১নম্বর পলাতক আসামী।
এছাড়া নিজপাট ইউনিয়নের কামরাঙ্গীখেল গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে নুরুল হক (৫০), চারিকাটা ইউনিয়নের বালিপাড়া গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে লাখি মিয়া (৩৭), নিজপাট ইউনিয়নের লামাপড়া গ্রামের সুজিত চন্দ্র নন্দীর স্ত্রী সিতা রানী নন্দী (৫০) একই ইউনিয়নের সারীঘাট ডুপি গ্রামের বর্তমান নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের আখলাকুর রহমান এর ছেলে আব্দুল আহাদ (৩২) কে আটক করা হয়, এরা বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিল।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ আটকের বিষয় নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে বলেন, থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান করে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চোরাচালান ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।