ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে সমালোচনায় আওয়ামী লীগ

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:২৭:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

৪র্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী এবং সমর্থকরা চষে বেড়ালেও ঢোলারহাট ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এতে হাট-বাজার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই বইছে আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়। সঠিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করতে না পারায় এই সমালোচনায় পড়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

জানা যায়, আসন্ন ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২১নং ঢোলার হাট ইউনিয়ন থেকে দলীয় ভাবে তিন জনের নাম চূড়ান্ত করে পাঠানো হয়। যার মধ্যে অজিত কুমার রায় জেলা পৌর-শহরের কলেজপাড়ার ভোটার, অখিল চন্দ্র রায় ঋণ খেলাপি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন দুদকের মামলার আসামি।

 

ঢোলারহাট ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, আওয়ামী লীগ সঠিক ভাবে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেনি। যে কারণে দুই জনকে মনোনয়ন দিলেও দুজনেরই মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। একজন দলীয় সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয় এবং অপরজনকে ঋণ খেলাপির দায়ে উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি বাতিল করে।

 

গত ২০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সীমান্তের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। পরে ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। সীমান্তের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ২৩ নভেম্বর অখিল চন্দ্রের নাম উল্লেখ করে চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হয়।

 

এদিকে গত ৩০ নভেম্বর দুদকের দায়ের করা মামলা হতে চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মণকে শুনানি শেষে অব্যাহতি দেয় ঠাকুরগাঁও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। অপরদিকে অখিল চন্দ্র রায় নৌকার প্রতীক ধরে রাখতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে আপিল করেন। যার শুনানি হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর। সেদিনই চূড়ান্ত হবে কে হবেন এই নৌকার মাঝি।

 

বিশিষ্ট সমাজসেবক আবু মহিউদ্দীন বলেন, সম্প্রতি ২৮ নভেম্বর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নে, সেখানে দেখা গেছে একজন প্রার্থী যার কোনো নাম ডাকই ছিল না এবং নির্বাচনের দিন নির্বাচন বর্জন করল। সে কি ভাবে বিজয়ী হলো? এটাতো মানুষ প্রত্যক্ষভাবে দেখেছে। বর্তমানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। নির্বাচনে যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।

 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম বলেন, একজন মানুষ দণ্ডপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে দলীয়ভাবে ৪-৫ জনের নাম পাঠানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে সকলের যে হবে সেটা তো বলা যাবে না।