ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আরেকটি বাসে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৩:৩০:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

লাঠিসোঁটা হাতে ঢাকার চার প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন, প্রাইভেট কার ভাঙচুর করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে জড়াচ্ছেন সংঘর্ষে। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে আরও একটি বাসে আগুন দেন বিএনপি কর্মীরা।

 

শনিবার (২৯ জুলাই) কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে অনুমতি না থাকায় ঢাকার প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পয়েন্টে পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।

 

 

তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বেলা ১১টার পর থেকে রাজপথে নামতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান তারা।

 

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপিকর্মীরা। কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

 

সংঘর্ষের মাঝেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্ট করে পুলিশ। তবে এর মধ্যেই এক ফাঁকে দুপুর ১২টার দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপিকর্মীরা। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে আরও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশের জলকামানের ওপর হামলা করেন বিএনপিকর্মীরা।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিএনপির একটি গ্রুপ হঠাৎ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে এসে বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের প্রতিহত করতে গেলে বলতে শোনা যায়: ‘জ্বালাও-পোড়াও করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবোই।’

 

শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে একথা জানানো হয়।

 

এরপর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সড়কে অবস্থানের চেষ্টা করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। লাটিসোঁটা হাতে সড়কে নামেন তারা।