বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১২ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা প্রমাণ করে দেশে দুঃশাসন প্রকট রূপ ধারণ করেছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন তিনি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ মিছিল পুলিশী বাধায় পণ্ড করে ডামি সরকার আবারও প্রমাণ করল যে, তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধ শক্তি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মসূচি ছিল না। সভ্য গণতান্ত্রিক বিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে স্বীকৃতি তা আজ বাংলাদেশে ভূলুণ্ঠিত।
তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ সংবিধান স্বীকৃত, অথচ এ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সেই সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার আরও বেশি ক্রুদ্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, গণতন্ত্রের লেবাসে ফ্যাসিবাদ আরও আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দ্বিমত পোষণ গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান। যে সমাজে ন্যূনতম গণতন্ত্র আছে সেখানে ভিন্নমত প্রকাশে বাধা দেওয়া হয় না। কিন্তু আওয়ামী সরকার ভিন্নমত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু হয়ে রাষ্ট্রীয় পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করছে, দুঃশাসন যে প্রকট রূপ ধারণ করেছে, এটিই তার নমুনা।
তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা ও জেল-জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। তবে বলপ্রয়োগ ও ভয় উৎপাদন করে দীর্ঘদিন জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে স্বৈরাচারী সরকারের কোনো দায় থাকে না, বরং গণতন্ত্রকে অস্বীকার করার সব থেকে বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়। তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নীতি সমাধিস্থ করে কতৃর্ত্ববাদের নতুন আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের কর্মসূচি পুলিশী বাধায় পণ্ড করা অগণতান্ত্রিক, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও সরকারের ভিন্নমত দমনের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।