ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নতুন কর্মসূচি দিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ছাড়লেন শিক্ষার্থী-জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২ অগাস্ট ২০২৪ ০৭:১৫:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী-জনতা। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।

 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা জানান, রোববারের (৪ আগস্ট) মধ্যে আটকদের মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এসময় আগামী রোববার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

 

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, ‘গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে, গ্রেফতার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। রোববারের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার দুপুর তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।’

 

এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে দ্রোহযাত্রা শুরু করেন তারা।

 

দ্রোহযাত্রার সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

 

এসময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। আমাদের আন্দোলনের মধ্যে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারেন। আমরা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। আজ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নারী-পুরুষ একত্রিত হয়েছেন। আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে জনতার হাতে আনতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের দায় শিকার করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনত হবে।’

 

এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানান ধরনের স্লোগান দেন। এসময় তারা গানের মাধ্যমেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। স্লোগানে তারা বলেন, ‘আমার ভাই মরলো কেন, স্বৈরাচার জবাব চাই’।